ওয়ার্ডপ্রেসের ২৫টি সাধারণ ভুল যা এড়িয়ে চলা উচিত (চতুর্থ পর্ব)

১৬। যথাযথ প্রশিক্ষণ না দেওয়া:
প্রায়ই ডেভেলপাররা ছোট ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। তারা তাদের ক্লায়েন্টদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেন না। যার ফলে ক্লায়েন্টদের ওয়ার্ডপ্রেস সাইটগুলি কিভাবে পরিচালনা করা যায় তা না জানার জন্য খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য সকল ডেভেলপারদের উচিত সাইট ডেভেলপের পাশাপাশি তাদের ক্লায়েন্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
১৭। ডেটাবেজ কানেকশন ত্রুটি:
আমরা অনেক সময় দেখি আমরা সফলভাবে সকল কাজ সম্পন্ন করার পর যখন সাইটটি ব্রাঊজ করি তখন “Error Establishing Database Connection” এরকম একটি এরর দেখায়। অনেকে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন, কিন্তু এটা ছোট কিছু ভুলের কারনে ঘটতে পারে। বেশিরভাগ সময় আমরা লোকাল সার্ভারে সাইট ডেভেলপ করে তারপর লাইভ সার্ভারে আপ করি। তখনই এই ধরনের ভুলগুলো হয়ে থাকে। কেননা অনেকে জানেনা কি করে সিপ্যানেল এ ইউজার ক্রিয়েট করতে হয়। আবার ইউজার ক্রিয়েট করলেও তার পাসওয়ার্ড যথাযথভাবে ব্যবহার করতে জানেন না। আবার অনেকে ইউজার এর ডেটাবেজের প্রিভিলেইজ দিতে ভুলে যান। সবশেষে ইউজার, পাসওয়ার্ড ও ডেটাবেজ নাম সঠিক ভাবে wp-config.php ফাইলে সেইভ করেন না। উপরের যে কোন একটি ভুলের কারনে এ সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো ঠিকভাবে করলে আশা করি ডেটাবেজ সংক্রান্ত সমস্যা হবে না।
১৮। হোয়াইট স্ক্রিন জনিত সমস্যা:
অনেক সময় ইউজারদের এধরণের সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। তখন অনেকে এটাকে হোস্টিং সংক্রান্ত সমস্যা বলে মনে করেন। আসলে বেশিরভাগ সময়ই পাইরেটেট বা ম্যালওয়্যারযুক্ত প্লাগইন বা থিম ইনস্টল করার সময় এটি ঘটে। আবার কখনো সাইটের মেমরি ফুল হয়ে গেলেও হোয়াইট স্ক্রিন প্রবলেম দেখা দেয়। আমরা খুব সহজেই এ সমস্যার সমাধান করেতে পারি। যেমনঃ প্লাগিন ও থিম ফোল্ডার মুছে আবার ক্রিয়েট করে এবং মেমরি ফুল হয়ে গেলে মেমরি সীমা বৃদ্ধি করে।
১৯. প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার্ভিস না কেনা:
নিজস্ব একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ চালু করতে অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিংয়ের প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায়, ডোমেইন হোস্টিং প্রভাইডার কোম্পানিগুলো তাদের প্রমোশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনা কাটার জন্য ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। এতে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এসব সার্ভিসগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশান, ব্রান্ডেড ইমেইল বা ওয়েবমেইল, SSL, ৫ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশান করা ইত্যাদি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশানের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অনেক হোস্টিং কোম্পানি কিছু শর্তসাপেক্ষে এসব সার্ভিস দিয়ে থাকে। ব্রান্ডেড ইমেইল বা ওয়েবমেইল সুবিধা গুগলের বিভিন্ন ওয়েব অ্যাপসের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আলাদা SSL সুবিধার প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু ব্রান্ডেড কোম্পানি রয়েছে যারা বিনামূল্যে SSL সুবিধা দিয়ে থাকে। কিছু কিছু ওয়েবসাইট বা ব্লগ পেজের জন্য ৫ বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশান করার ব্যাপারটিও অনেকটা অনর্থক।
তাই ব্যবহারকারী বা ক্রেতাদের যেকোন সার্ভিস কেনার আগে ভেবে চিন্তে নেয়া উচিত যে, সার্ভিসটি তার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা।
২০. ওয়েবসাইট ঠিকানা(url) পরিবর্তন এবং ভিজিটর কমে যাওয়াঃ
অনেককেই দেখা যায়, মজার ছলে একটা ডোমেইন নিয়ে অথবা ফ্রি ডোমেইন দিয়ে ব্লগ বা অন্য কোন সাইট খুলে থাকেন, পরবর্তীতে যখন ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা ও গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেন তখন তারা ডোমেইন নাম বা ওয়েবসাইট ঠিকানা(url) পরিবর্তন করতে চান।
এরকমটা হরহামেশাই ঘটে থাকে। তবে যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে যদি একটা ওয়েবসাইট ঠিকানা(url) পরিবর্তন করা হয়, তাহলে এর ফল উল্টোটাও হতে পারে। অর্থাৎ, এতে ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বা ভিজিটর কমে যাওয়া এবং আয়ের উপরও একটা প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডাইরেক্ট করে নেয়া উচিত।
এছাড়া ওয়েবসাইট ঠিকানা(url) পরিবর্তনের জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে যা পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে।
এই সিরিজের অন্য পর্বগুলোঃ
Md. Shah Jamal Sumon
As a Full Time Web Developer, WordPress & Laravel Specialist Since 2015.